Category: তাওবা
-
অতীত শত্রুর কাফফারা (শেষ পর্ব)
রাসূলুল্লাহ ﷺ অবস্থান করছেন মক্কায়।[1] বিশাল বিজয় এবং সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর মক্কাবাসী এসে এসে দেখা করে যাচ্ছে নবিজি ﷺ এর সাথে। এখন মহিলাদের পালা। তাঁরা দলে দলে আসছেন নবিজি ﷺ এর কাছ থেকে বাইয়াত গ্রহণ করতে। নবিজি ﷺ তাঁর সাথে দেখা করতে আসা মক্কার মহিলাদের কথা শুনছেন। নবিজির ﷺ পাশে বসে আছেন তাঁর দুইজন…
-
ফুলের বনে যারেই দেখি তারেই লাগে ভালো
চোখের হিফাজত করার চেষ্টা করি। এরপরেও মাঝে মাঝে রাস্তাঘাটে, কোচিংয়ে, ক্লাসে, ক্যাম্পাসে, বেলকনিতে দাঁড়িয়ে থাকা কাউকে, স্ক্রল করতে করতে ছবি বা ভিডিও চলে আসা কাউকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারি না। বারবার দেখে ফেলি। প্রেমে পড়ে যাই। এরপর সারাক্ষণ শুধু তাদের চিন্তাই মাথায় ঘোরে, কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারি না… এমন সমস্যা অনেকেরই। সত্যিকথা বলতে আমাদের…
-
অপচয়ের অনুশোচনা
অনেক দিন আগের কথা। আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম। প্রচুর অপচয় করতাম। মিনিটে মিনিটে জিনিসপত্র ধ্বংস হয়ে যেত আমার মাধ্যমে। আম্মু-আব্বু আমাকে ‘উৎপাত’ নামে চিনত। বাসায় প্রচুর বকা খেতাম। তাও আমি ঠিক হতাম না। একদিন আব্বু আমাকে বলল, ‘গরিব হলে বুঝতে যে, অভাব কী জিনিস। যা চাচ্ছ, তা তুমি সহজে পেয়ে যাচ্ছ। তাই অপচয়ের পরিণাম…
-
উত্তরের অপেক্ষায়
কথা হচ্ছিল বন্ধু সোহানের সাথে। প্রেম নিয়ে বই লিখছি জেনে একটু কৌতুহলী হলো।[1] গুল মারিস না। তুই হুজুর হইয়া বই লিখবি প্রেম নিয়া? হাসতে হাসতে প্রশ্ন করল সে। বিস্তারিত শোনার পর বলল– বাহ চমৎকার! শোন তবে, তোকে আমার একটা ঘটনা বলি। প্রায় পনেরো বছর আগের ঘটনা। আগুন ঝরা চৈত্রের দিন। সেদিন আমার মরে যাওয়া ছাড়া…
-
মদের বার থেকে মদীনায়!
আমি ওমর (ছদ্মনাম)।[1] মিশরের নামি এক হোটেলে কাজ করতাম আমি। এখন মদীনার এক হোটেলের ম্যানেজার। আমার হোটেলটা মসজিদে নববির একেবারেই কাছে। আমাদের সবার প্রাণের চেয়ে প্রিয় রাসূলুল্লাহ ﷺ শুয়ে আছেন যেখানে। ইচ্ছে হলেই আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মসজিদে সালাত আদায় করতে পারি। ছুটে গিয়ে বলতে পারি—আসসালামু আলাইকুম ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ। মিশর থেকে মদীনায় এসে এমন…
-
পিঁপড়া ঢাকা লাশ!
সৌদি আরবের একজন প্রখ্যাত শাইখ আব্বাস আল বাত্তাউয়ী রহিমাহুল্লাহ। তিনি বেশ কয়েক বছর আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। শাইখ আব্বাস স্বেচ্ছায় ভলান্টিয়ার ভিত্তিতে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মৃত ব্যক্তিদের গোসল দিয়েছেন। কাজেই তিনি বিভিন্ন মানুষের মৃত্যু দেখেছেন, অনেক অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। সেখান থেকে নির্বাচিত কিছু অংশ আমরা তোমাদের সামনে উপস্থাপন করব। একদিন শাইখ আব্বাসের কাছে এক ভদ্রলোক…
-
ভুল হলে ফুল হোয়ো
গুনে গুনে পঞ্চাশটি রাত পার হয়ে গেল। প্রিয় মানুষটা এখনো তাঁর সাথে কথা বলছেন না। তিনি যখন সালাতে দাঁড়ান, উনি তখন তাঁর দিকে একটু তাকান। তিনি সালাম ফেরালে, উনি চোখ ঘুরিয়ে নেন। চুপিসারে, আস্তে আস্তে, ছোট্ট শিশুর মতো নীরব চাহনি দিয়ে তিনি তাকিয়ে থাকতেন এই আশায়—এই বুঝি উনি তাকালেন আমার দিকে। উনার মজলিসগুলোতে আগে-আগে সালাম…
-
নীড়ে ফেরার গল্প
অন্ধকারকে আলো ভেবে জড়িয়ে ধরা ছেলেটার গল্প এটি। মরীচিকাকে সে ছুঁতে চাইত, মিথ্যাকে আপন ভেবে গায়ে মাখাত, বুকের মধ্যে পুষে রাখত অভিশপ্ত এক জঞ্জালকে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের ‘ছেলেটা’ ভালো স্টুডেন্ট ছিল। একেবারে মায়ের চোখের মণি। মা তাকে চোখের আড়াল করতে দিত না। সন্ধ্যায় যখন সে বন্ধুদের সাথে খেলার পরে মাগরিবের সালাত পড়তে যেত এবং ফিরতে…
-
আগুন নিয়ে খেলা
প্রতিবছর ভ্যালেন্টাইনস ডে আসলেই আমাদের ভালোবাসার কথা মনে হয়, উথলে পড়ে তথাকথিত ভালোবাসা। মনে ভালোবাসার ফাগুন-আগুন যেন একসাথেই শুরু হয়। আর শয়তানি মিডিয়া এই আগুনে ঘি ঢালে। শুধুমাত্র ভ্যালেন্টাইনসকে কেন্দ্র করে নাটক, মুভি, সিরিজ, মিউজিক ভিডিও, শর্টফ্লিম ইত্যাদির মতো ফিতনার জাল বিছিয়ে দেয়। সেই জালে আটকে যায় হাজারো ছোট-বড় ভাইবোন। মিডিয়া সেলিব্রিটিরা আমাদেরকে শেখাতে আসে…
-
বদলে যাবার দিনে
১. আমি ‘এম’। বাসায় মোটামুটি ধর্মীয় পরিবেশ থাকায় ছোটবেলা থেকেই নৈতিকতার বাউন্ডারির ভেতরেই বড় হয়েছি। লাগামছাড়া উদ্দাম লাইফস্টাইল থেকে গা বাঁচিয়ে গোছানো একটা জীবন যাপন করতাম। ছাত্রজীবনের বেশিরভাগ সময় সহশিক্ষার সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকায় প্রেম-টেম করার খুব বেশি সুযোগ কখনো তৈরি হয়নি। সুযোগ আসলেও এসব থেকে সযত্নে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম। রাস্তার কোণায় অন্ধকার চিপায়…