১/ একজন মানুষ আসলে কেমন ব্যক্তিত্বের অধিকারী, তার অনেকটাই বোঝা যায় হ্যান্ডশেইক করা থেকে। মিনমিন করে নয়, স্থির, দৃঢ়ভাবে হ্যান্ডশেইক করো।
২/ তুমি বসে, অন্যরা দাঁড়িয়ে—এমন অবস্থায় কখনো হ্যান্ডশেইক করবে না। দাঁড়িয়ে হ্যান্ডশেইক করো।
৩/ যেখানেই যাও না কেন, পরিপাটি হয়ে যাও। পোশাক দামী হতে হবে, এমন নয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যেন হয়। একমাত্র লুজাররাই নোংরা পোশাক-আশাক, এলোমেলো চুল, অপরিপাটি থাকাকে কুল, স্মার্টনেস মনে করে।
৪/ তুমি যে কাজ করোনি, সে কাজের ক্রেডিট নিয়ো না।
৫/ ভুল করলে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দেবে না; নিজের দোষ নিজের ঘাড়ে নেবে।
৬/ অন্যের ভালো কাজ, সফলতা দেখে হিংসা করবে না। যোগ্য ব্যক্তিকে ক্রেডিট দিতে কুণ্ঠাবোধ করবে না।
৭/ সঙ্গে সবসময় ক্যাশ টাকা রাখবে, যতটকুই পারো। যেকোনো সময় কাজে লাগতে পারে। তখন টাকা না থাকার কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।
৮/ দামাদামী করা বা কোনো চুক্তি করার সময় কখনোই প্রথমে তোমার অফার দেবে না। আগে অপরপক্ষের অফার শুনো। এরপর বলো।
৯/ রাস্থাঘাটে চোখের হিফাজত করবে।
১০/ মেয়েদের পেছনে ঘুরবে না। এমন অভ্যাস কখনোই তোমাকে পুরুষ হতে দেবে না। ভবিষ্যৎ স্ত্রীর জন্য নিজেকে পবিত্র রাখবে।
১১/ মাদক ছুঁয়েও দেখবে না। এমনকি সিগারেটও না। মাদক নিয়ে কেউ পুরুষ হয় না, হয় কাপুরুষ।
১২/ তোমাকে দাওয়াত দেওয়া না হলে কখনো সেখানে যাবে না। কারও কাছ থেকে চেয়ে দাওয়াত নেবে না।
১৩/ অন্যের সঙ্গে কথা বলার সময় ফোন চাপাচাপি করবে না। মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনবে।
১৪/ কখনো খাবারের ভুল ধরবে না।
১৫/ বাসায় আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করতে পারো। তবে বাসার বাইরে শুদ্ধ, মার্জিত ভাষায় কথা বলো। কথায় কথায় গালিগালাজ করা লুজার বানায়, পুরুষ বানায় না।
(চলবে ইনশা আল্লাহ)
[ষোলো ৬ষ্ঠ সংখ্যায় প্রকাশিত]