২০০৩ এ, ঢাবিতে হলে থাকার সময়ে মাঝে মাঝেই বিকেলবেলা স্পোর্টস গ্রাউন্ডে ক্রিকেট খেলতে যেতাম। খেলা শেষ হলে প্রায়ই জগন্নাথ হলের মাঠে গিয়ে নাশতা করে মাঠে আড্ডা দেওয়া হতো। আড্ডার মাঝেই মাথায় বদ বুদ্ধি গজাতো আমার। জগা বাবুর হল আর এসএম হলের মাঝের প্রেম কানন, ফুলার রোড। সেখানে সন্ধ্যা থেকে কাপল বসে থাকত।
জগন্নাথ হলের গেইটে এসে আমরা ক্রিকেট টিমের সবাই ২ ভাগে ভাগ হতাম – এক টিমে ৫/৬ জন খালি হাতে, বাকি ১২/১৩ জন স্ট্যাম্প-ব্যাট হাতে পিছনে দাঁড়াতাম। দুই টিমের মাঝে ২৫/৩০ হাত দূরত্ব নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল পর্যন্ত সামনের টিমকে পিলে চমকানো চিৎকার দিয়ে ধর শালাসহ নানা হুমকি-ধামকি সহকারে ধাওয়া দিতাম। শোনা যায় – চোরের মায়ের বড় গলা!
আমাদের এই ধাওয়া দেওয়ার সময় সামনের টিমকে পেটানোর চাইতে, আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য যে যেভাবে পারি চেচামেচি করতাম। মাঝে মাঝে ইটপাথরেও সাবধানে মিসফায়ার করতাম। আমরা নিরাপদেই এই ধাওয়া সেরে এক সাথেই গলাগলি করে জগন্নাথ হলে ফিরতাম।
রাস্তায় কাপলদের ব্যাগ, স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখা যেত। মাঝে মাঝে কিছু প্রেমিক প্রবর এসএম হলের দেয়াল টপকাতে গিয়ে আছাড় খেত। আমরা পাত্তা না দিয়ে ধাওয়া দিতাম। ফোকাস ঠিক রাখা জীবনে খুবই জরুরি!